
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কক্সবাজার জেলা আহ্বায়ক কমিটিতে চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও প্রশাসনে তদবীরবাজদের স্থান দেওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে আন্দোলনের একাংশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সদ্য ঘোষিত জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ছাত্র প্রতিনিধি জুনায়েদ হোসেন বলেন, “এই কমিটি একটি পকেট নির্ভর কমিটি, যেখানে আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা নেতাদের রাখা হয়নি। বরং নির্দিষ্ট একটি দলের অনুসারীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, যাদের অনেকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও প্রশাসনে তদবীরবাজির অভিযোগ রয়েছে।”
সংগঠনের ঘোষিত জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাগর উল ইসলাম বলেন, “কমিটিতে আমার নাম থাকলেও প্রকৃত আন্দোলনকারীদের জায়গা দেওয়া হয়নি। বরং চিহ্নিত অপরাধীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে আমি আমার নাম প্রত্যাহার করেছি।”
এসময় আরও অনেকে কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন, যাদের মধ্যে ছিলেন—সাগর উল ইসলাম, জুনায়েদ হোসাইন, আতাহার সাকিব, নোবিল জালাল, রবিউল হোসেন, তাশদিদ উর রেজা, সাফওয়ান আল আজিজ, সাঈদ স্বাধীন, সাজ্জাদ হোসাইন, মইনুর রশিদ, হোসাইন মো. সাজ্জাদ, সাইফুল ইসলাম, তাইফ বিন কাদের, আনছারুল করিম, ইরফান সাঈদ, মিনহাজ উদ্দিন মিশুক, আরিয়ান খান ফারাবি, এমএ মান্নান, মোহাম্মদ রায়হান, সাকিব আবির, মোহাম্মদ সম্মাট, মোহাম্মদ রিদওয়ান, মোহাম্মদ রিয়াদ প্রমুখ।
এ বিষয়ে সদ্য ঘোষিত কক্সবাজার জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাহেদুল ইসলাম সাহেদ বলেন, “কেন্দ্রীয় কমিটি সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই জেলা কমিটি ঘোষণা করেছে। আন্দোলনে কার কী অবদান, তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানে। এখানে কক্সবাজার জেলার কারও সম্পৃক্ততা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “কমিটিতে অপরাধীদের স্থান দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা প্রমাণ করুন, তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বুধবার রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি সাহেদুল ইসলাম সাহেদকে আহ্বায়ক ও সাগর উল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ৩০০ সদস্যের কক্সবাজার জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। তবে এক ঘণ্টার মধ্যে সংগঠনের ফেসবুক পেজ থেকে কমিটির তালিকা সম্বলিত পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। এরপরই ক্ষুব্ধ ছাত্র প্রতিনিধিরা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এর জেরে বুধবার গভীর রাতে কক্সবাজার শহরের ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন প্রধান সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়। পরে জ্যেষ্ঠ ছাত্র প্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে এক ঘণ্টা পর বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন। সুত্র : আলোকিত বাংলাদেশ
পাঠকের মতামত